শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ০৯:১৯ পূর্বাহ্ন
বিপ্লব হোসেন (ফারুক),গাজীপুর: গাজীপুর কাশিমপুর থানাধীন পশ্চিম এনায়েতপুর গ্রামের মোঃ হোসেন মিয়ার মেয়ে দুই সন্তানের জননী কোকিলা(২৫) পাঁচ বছর পূর্বে উল্লেখিত জেলার কোনাবাড়ি থানাধীন আমবাগ এলাকার মোঃ বজলু খলিফার ছেলে মতিউর রহমান (২৭) এর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে কোকিলার কোল জোরে আসে দুটি কন্যা সন্তান প্রথম সন্তান মোসাম্মৎ জান্নাত (৪)দ্বিতীয় সন্তান মোসাম্মৎ নুসরাত জাহান (২) এমন অবস্থাতে তাদের সুখের সংসার ভালোই চলতে ছিল। এরই মাঝে মোবাইল ফোনে রাসেল নামে এক ব্যক্তির সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরে কোকিলা জড়িয়ে পড়ে ফাল্গুনীর নয়া প্রেমে, অটো চালক স্বামী সকালে খেয়েদেয়ে যখন অটো গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হয় জীবিকার সন্ধানে, স্ত্রী কোকিলা তখন নতুন প্রেমিককে গান শোনাতে উড়াল দেয় গজারি বনের নির্জনে, এভাবেই রসনীলা চলতে থাকায় বিষয়টি শাশুড়ি অর্থাৎ মতির মা মোহরবানু আস্তে আস্তে জেনে যায় তবে ছেলে কে না জানিয়ে গোপনে পুত্রবধূকে শাসন করতে থাকে আর তখনই কোকিলা হয়ে ওঠে বাজপাখি মতো হিংস্র, তার দাঁড়ালো নৌখ সুচারু ঠোঁট ব্যবহার করতে থাকে শাশুড়ির বুকে, অবস্থা বেগতিক দেখে বিষয়টি ঠান্ডা মাথায় ছেলেকে বুঝিয়ে বলেন মা, মায়ের কথা বিশ্বাস না করে মাকে উল্টো বকাবকি করলে মা ক্ষুবের আগুনে ফুসে বুকে চাপা কান্না নিয়ে চলে যায় বাপের বাড়ি। এদিকে ছেলে মতি কৌশলে স্ত্রী কোকিলার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে অটো রেকর্ড চালু করে রাখে যা প্রতিদিনের কল রেকর্ড গভীর রাতে শুনে শুনে স্বামী মতি প্রান কোকিলা কে শাসন কিংবা বেগতিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করে বুঝানোর চেষ্টা করে, মতির বুঝানো কথা মুখে মেনে নিলেও কোকিলার অন্তরে জ্বলছে প্রেম আগুনের অশান্তির দাবানল যে কারণে মনে প্রানে ফন্দি ফিকিরে ছল করে গত ১৫ ই এপ্রিল সন্ধ্যা বেলায় স্বামীকে নিয়ে আসে বাপের বাড়ি এসেই কাল বিলম্ব না করে আপনজনদের জানালো তার স্বামী অত্যাচারী, তার নির্যাতনে আজ সে অতিষ্ঠ তার যান গেলেও এমন স্বামীর ঘর সে করবে না, কোকিলার মুখে এমন কথা শুনে বাবা হোসেন মিয়া রুদ্র মূর্তি ধারণ করে রাতে স্থানীয় মাস্তান ভাড়া করে মতি মিয়ার উপর চালায় পাশবিক নির্যাতন, এক পর্যায়ে মতি অজ্ঞান হয়ে পড়লে মাস্তানরা তাকে ফেলে চলে যায় পরবর্তীতে আত্মীয়-স্বজনের সহযোগিতায় গাজীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে কাশিমপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় নন জুটিশিয়াল সাদা স্ট্যাম্পে ভয় ভীতি প্রদান করে হীন উদ্দেশ্যে তার স্বাক্ষর গ্রহণ করে কোকিলার পরিবার পক্ষ, অভিযোগের বিষয়টি বর্তমানে কাশিমপুর থানায় তদন্তধীন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাশিমপুর থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে এখনো ঘটনাস্থলে পৌঁছায়নি।